বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১১

জাতির অভ্যুদয় ইতিহাসে

“আমরা বিস্ময়-বিস্ফারিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছি যে আমাদের পশ্চিম বাংলায় প্রতিদিনের জীবনে দেবমন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি ও শিশুকণ্ঠের কলহাস্যের ওপারে জীবন যখন সন্ত্রাসে ও গুপ্তহত্যায় মলিন ও বিড়ম্বিত হয়ে উঠেছে তখন ইতিহাসের কোন্‌ আশ্চর্য নির্দেশে আমাদের পূর্ব সীমান্তের ওপারে আমাদেরই ভাষা ও সংস্কৃতির আর এক অংশে দেশের সামগ্রিক জীবন এক আশ্চর্য ও অনির্বচনীয় মহিমায় ভাস্বর ও প্রোজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। সে প্রায় আশ্চর্য ও দিব্য স্বপ্নের মতো, অথচ আজ তা দিবালোকের মতো প্রত্যক্ষ। চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি - জীবলোকে যে প্রাণ জীবের শ্রেষ্ঠতম, প্রিয়তম সম্পদ, যে প্রাণকে শত বিরুদ্ধতা ও প্রতিকূলতার মধ্যে বাঁচিয়ে রাখা অমোঘ জীবধর্ম, সেই প্রাণের সম্মান রক্ষার অনিবার্য প্রয়োজনে একটি সমগ্র জাতি, সাড়ে সাত কোটি জনসংখ্যা সমন্বিত একটি জাতি, একান- অবহেলায়, অকাতরে, হাসিমুখে সামগ্রিক ভাবে নিজেদের প্রাণ নিঃশেষে দান করবার জন্য উদ্যত। সংখ্যা গণনার প্রায় অতীত সংখ্যায় প্রাণ ইতিমধ্যে নিবেদিত হয়েছে, বাকি প্রাণ নিবেদনের জন্য প্রস্তুত উন্মুখ। একেই বলে অভ্যুদয়। মানুষ জাতি উদিত হয় ইতিহাসের ক্ষেত্রে।”
    স্বাধীনতা ও মুক্তির রক্তাক্ত সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশের উদার অভ্যুদয়কে এভাবেই দেখেছিলেন মহান কথাশিল্পী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লিখিত অনুচ্ছেদটি তাঁর “বাংলা দেশের নূতন প্রকাশ মুহূর্তে” শীর্ষক ভাষণের প্রারম্ভিক অংশ। এ ভাষণ তিনি দিয়েছিলেন আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্র থেকে, ১৯৭১ সালের এপ্রিলের এক রাত (বাংলাদেশ সময়) ০৮-৩০ মিনিটের বিশেষ অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানটি ছিল ধারাবাহিক। এতে ভাষণ দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় কবি-সাহিত্যিক প্রায় সকলেই।
তখন আমরা শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে। ব্যর্থ হয়েছে আমাদের প্রতিরোধ। টাঙ্গাইলে ঢুকে পড়েছে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে মুসলিম লীগ, জামায়াত ইসলামী ও অন্যান্য স্বাধীনতাবিরোধী দল। জেলাশহরে ঘাঁটি গেড়ে তারা গড়ে তুলছে দোসর বাহিনী। চলছে অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ। তরুণ-যুবক ও হিন্দুদের প্রতিই তাদের যত রোষ। তবে রেহাই পাচ্ছে না অন্যরাও। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে সে সব বীভৎস পৈশাচিকতার বিবরণ। পথে-ঘাটে পরিচয়পত্র ছাড়া চলা যায় না। তারপরও কলেমা বলতে হয়, শিশ্ন দেখাতে হয়। বাড়ি-বাড়ি ওড়াতে হয় পাকিস্তানি পতাকা।
পাকুল্লা-নাটিয়াপাড়ার প্রতিরোধ যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিল হানাদার পাকিদের অনেকে। ওই যুদ্ধ সংগঠনে কিছু দায়িত্ব এসে পড়েছিল আমার ওপর। চেনাজানা সাবেক আনসার, পুলিশ, ইপিআর, সেনা বাহিনীর সদস্যদের একত্রিত করেছিলাম আমি। তাঁদের মধ্যে আমাদের আকুরটাকুর পাড়ার মোকাদ্দেস ভাই, ফজলু ‘মামা’ ও আরও কয়েকজন যোগ দিয়েছিলেন যুদ্ধে। আমার বাল্যবন্ধু বজ্র (কাদের সিদ্দিকী) নিয়েছিল সক্রিয় ভূমিকা। সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক ছিলেন আরজু ভাই (আবদুল লতিফ সিদ্দিকী), সভাপতি ছিলেন বদিউজ্জামান খান।
হানাদার পাকিদের ঠেকাতে যাঁরা অস্ত্র ধরেছিলেন, যাঁরা সংগঠিত হয়েছিলেন ও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি তীব্র আক্রোশ ছিল দখলদার বাহিনীর। তাঁদের খোঁজ জানতে তৎপর ছিল তারা। এজন্য তাঁদের পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজনের ওপর চলতো অকথ্য নির্যাতন, বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিয়ে লুটপাট করা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। প্রাথমিক শক্তি সঞ্চয়ের পর গ্রামাঞ্চলের থানাগুলোকে ভিত্তি করে চারপাশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতো পাকি ও তাদের দোসররা। কোথাও বাধা পেলে প্রবল শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তো সেখানে - চালাতো বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ, নৃশংস নির্যাতন। এক বামপনি' নেতাকে ধরতে পাছ চারান গ্রামে চলেছিল এমন এক বীভৎসতা। সেখানে ধর্ষণের শিকার হন জামায়াত-নেতা শহীদুল্লাহ’র এক বোন। তবে এর কোনও প্রতিবাদ করেন নি ওই নেতা। তিনি নাকি দোষ দিয়েছিলেন বোনকেই। বলেছিলেন, ও নিশ্চয়ই কোনও পাপ করেছিল... সেই পাপের খেসারত দিয়েছে!
প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রথম ধাক্কা সামলে ওঠার সময় তখন। প্রত্যন- অঞ্চলগুলোতে সংগঠিত হচ্ছে যোদ্ধারা। তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে তরুণ-যুবকেরা। রাজনৈতিক সংগঠন ও অস্ত্রের প্রশিক্ষণ হয়ে উঠেছে অত্যন- জরুরি। আমি চলছিলাম দেলদুয়ার, বাসাইল, কালিহাতি থানার গ্রামাঞ্চল দিয়ে। পাহাড়ে সংগঠিত হয়ে উঠছে বজ্র - এ খবর চারদিকে। আমি যাবো ভাবছি... এর মধ্যে পৌঁছলাম ছোট বোন বকুলের শ্বশুরবাড়ি বাসাইলের ঢংপাড়ায়। সেখানেই এপ্রিলের ওই রাতে শুনি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণটি। কেবল তাঁর ভাষা নয়, তাঁর কণ্ঠ ও বলার ভঙ্গি গভীরভাবে আপ্লুত করে আমাদের। ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল কবি-সাহিত্যিকের ভাষণই আবেগান্বিত করেছে আমাদের, কিন' কি যেন ছিল তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে, উচ্চারণে। সেই অনিশ্চিত, পলায়নপর, উদ্যত সঙ্গীনের নিচে আতঙ্ক-বিহ্বল জীবনে - আমাদের বুক ঠেলে উথলে উঠে আসে কান্না - পরম এক আপনজনের স্নেহ ও মমতায়। বুঝি রবীন্দ্রনাথ কেন লিখেছেন, “ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি...!” এখনও শুনতে পাই সেই বেতার-ভাষণের হৃদয়স্পর্শী কণ্ঠ, এখনও সামলাই উদগত অশ্রু:
“এই বীর্যবত্তার ও অভ্যুত্থানের বোধ হয় কোনও তুলনা সমসাময়িক ইতিহাসে নেই। আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য, স্বদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য, আত্মরক্ষার জন্য সংগ্রাম বুঝি। সেখানে অস্ত্র দিয়ে অস্ত্রের মোকাবিলা হয়, অস্ত্রের বলে বলীয়ান শত্রুর সঙ্গে বীর অস্ত্র নিয়ে লড়াই করে। কিন্তু আজ আমাদের সীমান্তের ওপারে আমাদের ভাষাভাষী ভ্রাতা-ভগ্নীরা যে সংগ্রামে লিপ্ত সে সংগ্রাম একান-ভাবে অসম। এক পক্ষ, যারা বিদেশী, যারা শাসকরূপী শোষক তারা আধুনিকতম মারণাস্ত্রের ঐশ্বর্যে ও সজ্জায় পূর্ণ সজ্জিত; আর অপর পক্ষ, যাঁরা নদীমাতৃক ‘বাংলা দেশে’র মৃত্তিকার সন্তান, যাঁদের প্রাত্যহিক জীবনে লাঙল, পাঁচনলাঠি, কোদাল আর কাসে- ছাড়া অন্য যন্ত্র ও অস্ত্রের সংবাদ রাখতেন না, তাঁরা। তাঁরা আজ হাতের কাছে যে যা অস্ত্র পেয়েছেন তাই সম্বল করেই বুকে সাহস, মুখে হাসি নিয়ে এগিয়ে এসেছেন লড়াই দিতে। এই অসম সংগ্রামে কি ফল হতে পারে তা সম্পূর্ণ জেনে বুঝেই তাঁরা অগ্রসর হয়ে এসেছেন। এই আশ্চর্য বীর্যবত্তা, সাহস ও আত্মসম্মানবোধের পদপ্রানে- একজন বাঙালি লেখক হিসেবে নিঃশেষে প্রণাম নিবেদন করছি।”
এর কিছু দিন পর অল ইন্ডিয়া রেডিও দিল্লি কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল বাংলাদেশে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন জানাতে বিশ্ববাসীর প্রতি আবেদন। ইংরেজিতে লেখা সে আবেদনও ছিল এমন আবেগ-উদ্দীপ্ত। লিখেছিলেন ও পাঠ করেছিলেন কবি সৈয়দ আলী আহসান। তাঁর ভাষায়, শব্দচয়নে, কণ্ঠে, উচ্চারণে কি মহিমা যে ছিল... সেদিনও হৃদয়মথিত কান্নায় আপ্লুত হয়েছিলাম আমরা। মনে আছে রাত তখন ১২-০০টা। সখিপুর এলাকায় পাহাড়ের কাছে এক গ্রামের চকমিলানো আঙিনায় বসেছিলাম আমরা। মাথার ওপর ছিল বিশাল সুগোল চাঁদ। তবুও আক্রান- রক্তাক্ত মাতৃভূমির বেদনায় পুরো প্রকৃতি ছিল বিষাদ-স্তব্ধ। তার মাঝে ছড়িয়ে পড়া সেই ধীর গভীর উদাত্ত ভাষণের স্বরধ্বনি কোনও দিন ভুলে যাওয়ার নয়।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেছিলাম কাগমারী সাংস্কৃতিক সম্মেলনে। ১৯৫৭ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল সে সম্মেলন। তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। বয়স মোটে ১০। টাঙ্গাইল শহর থেকে অল্প দূরে কাগমারী। আমরা সকাল-বিকাল হেঁটেই চলে যেতাম সম্মেলনের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে। ওখানেই প্রথম দেখেছিলাম “পথের পাঁচালী” - ভারতীয় দূতাবাসের সৌজন্যে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় শিক্ষা প্রতিনিধি দলের অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে। এ দলের নেতা ছিলেন হুমায়ুন কবির। অন্যান্য প্রতিনিধি ছিলেন প্রবোধকুমার সান্যাল, নরেন্দ্র দেব, রাধারানী দেবী প্রমুখ। আমি চেষ্টা করেছিলাম তাঁদের অটোগ্রাফ নিতে।
ওই সময়ই পাড়া-স্কুল ছাড়িয়ে পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়েছিল আমাদের ক’জনের ‘বইপোকা’ নাম। পরিবারে অবশ্য কড়া শাসন ছিল ‘আউট বই’ পড়ার ব্যাপারে। তারপরও আমাদের হাতে-হাতে ছিল কলকাতার দেব সাহিত্য কুটীরের যাবতীয় শিশুতোষ বই, সঙ্কলন, বার্ষিকী। ওই সব প্রকাশনায় ওঁরা সবাই ছিলেন আমাদের প্রিয় লেখক-লেখিকা। এছাড়া চলচ্চিত্রের কারণেও নাম জানতাম তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রবোধকুমার সান্যালের। আমাদের শহরের সবেধন ‘কালী সিনেমা’য় সগৌরবে চলেছে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত “সন্দীপন পাঠশালা” (১৯৫০), “চাঁপাডাঙ্গার বউ” (১৯৫৪), “রাইকমল” (১৯৫৫) আর প্রবোধকুমার সান্যালের “মহাপ্রস্থানের পথে” (১৯৫২)। ওই পুঁচকে বয়সেই কয়েকবার করে দেখা হয়ে গিয়েছিল সেগুলো। তাই ভারতীয় শিক্ষা প্রতিনিধি দলের সবাই ছিলেন বইপত্র ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমাদের অত্যন- প্রিয় ও পরিচিত।
তবে তাঁর এত ভালবাসার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দেখে যেতে পারেন নি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ভাষণের কয়েক মাস পর, ১৪ই সেপ্টেম্বর, মৃত্যুবরণ করেন তিনি। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্র  যখন খবরটি প্রচার করে তখন বারবার মনে পড়ছিল তাঁর ওই বেতার-ভাষণের কথা। এখনও কোনও কথায় তাঁর প্রসঙ্গ উঠলে মনে পড়ে সে রাতের স্মৃতি, শুনতে পাই সেই কণ্ঠ:
“... এই যে একটি নিরস্ত্র, অস্ত্রসম্বলহীন জাতির নিজের ভূমিতে বিদেশী, সমরাস্ত্রসজ্জিত সামরিক শাসকরা, শাসিতের সম্পূর্ণ ন্যায়সঙ্গত দাবি ও সমস্ত অধিকার অস্বীকার করে, নির্বিচারে হত্যা, নির্যাতন ও অত্যাচারের বর্বরোচিত ও হীনতম অভিযান চালিয়েছে যার মধ্যে বাংলাদেশের নারীধর্ম ও নারীজীবনের ওপর পৈশাচিক অত্যাচারের কথা আছে যা সারা বিশ্বে প্রচারিত হয়েছে যার নিন্দা শুধু পশ্চিমবঙ্গেই ওঠে নি, সমগ্র ভারতবর্ষেই ধ্বনিত হয়েছে এবং হয়ে চলেছে তার সম্পর্কে সমগ্র বিশ্বের বিবেক, যা প্রতিটি জাতির কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হয়, সেই বিশ্ববিবেক নীরব কেন? সে ধিক্কারে সোচ্চার হোক!... এই মূঢ় ও বর্বর অভিযান রোধ করবার জন্য বিশ্বের যে হস্ত ন্যায়কে ধারণ করে থাকে, প্রলয়কালে পুরাণপুরুষের বেদধৃত হস্তের মতো, সেই হস্ত প্রসারিত হোক, সেই বিবেক তার রুষ্ট দৃষ্টি ক্ষেপণ করুক। অন্য দিকে ন্যায় যার পক্ষে, তাকে অভয় দেবার জন্য, রক্ষা করবার জন্য সেই বাণী সোচ্চার হোক, সেই বরাভয়ধৃত হস্ত উত্তোলিত হোক - তাদের মস্তককে স্পর্শ করুক।”
এ ভাষণের আট মাস পর বাংলাদেশের উদার অভ্যুদয়ের মাধ্যমে সার্থক হয়ে ওঠে এই অবিস্মরণীয় আবেদন, পূরণ হয় তাঁর স্বপ্ন-সাধ।

1 টি মন্তব্য:

  1. এ পাড়ের পাশাপাশি ও দিকের চেহারাটি বড্ড ভাল লাগলো।তখন আকাশবাণী যে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছিল,আজকের মিডিয়ার তা আদর্শ হতে পারে।
    প্রসঙ্গত, মনে পড়ছে,তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর,আকাশবাণীর
    যুববাণী বিভাগ থেকে যে কথিকাটি সম্প্রচারিত হয়েছিল,সেটির দায়িত্ব পেয়েছিলুম আমি তদানীন্তন বিভাগীয় প্রযোজক কবিতা সিংহের সৌজন্যে।আমরা বাংলা দেশ দেখেছি,শিলাইদহ, পদ্মা,ঢাকা শহর সব পরিভ্রমণ করেছি সাহিত্যের হাত ধরে,কোনো কাঁটাতারের বেড়া সেখানে আড়াল তুলতে পারেনি।আজ সেই সাহিত্যের হাত ধরেই এই কর্মকান্ডে আমাদের প্রজন্মের সক্রিয় ভূমিকার কথা জেনে সমৃদ্ধ হলুম।

    উত্তরমুছুন